আজ পবিত্র হজ। ‘লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়াননি’মাতা লাকা ওয়ালমুল্ক’ ধ্বনিতে আজ শনিবার মুখরিত হবে আরাফাতের ময়দান। মহান আল্লাহর কাছে পাপমুক্তির আকুল বাসনায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় ২৫ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান আরাফাতের ময়দানে সমবেত হবেন।
হিজরি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ৮ জিলহজ মিনায় অবস্থানের দিন। মিনা এখন রীতিমতো তাঁবুর নগরে পরিণত হয়েছে। তাঁবুগুলো অগ্নিপ্রতিরোধক ও শীতাতপনিয়ন্ত্রিত। গতকাল শুক্রবার ফজরের নামাজের পরই হাজিরা বাস, গাড়ি অথবা হেঁটে মক্কা নগর থেকে ইহরাম বেঁধে পাঁচ কিলোমিটার দূরে মিনায় যান। এই মিনাতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ৬৩২ সালে হজ পালন করেন।
ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম হজ। হজের তিন ফরজের মধ্যে আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। হাজিরা আজ সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে থাকবেন। সেখানে তাঁদের কেউ পাহাড়ের কাছে, কেউ বা সুবিধাজনক জায়গায় বসে ইবাদত করবেন। মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দেবেন সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি আবদুল আজিজ আল শাইখ।
দুই মাইল দৈর্ঘ্য এবং দুই মাইল প্রস্থ একটি বিরাট সমতল ময়দান আরাফাত। তিন দিকে পাহাড়ঘেরা ধনুক আকৃতির এই ময়দানে ৯ জিলহজ হাজিরা অকুফে আরাফাহ বা আরাফাতে অবস্থান করেন।
আরাফাতের ময়দানে যাওয়ার এক দিন আগে মিনায় জোহর, আসর, মাগরিব, এশা ও ফজর—এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা সুন্নত। এ সুন্নত আদায় করতে হজের এক দিন আগে যথারীতি গতকাল রাত মিনায় অবস্থান করেন হাজিরা। হজের জন্য সৌদি সরকার ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে। মক্কার আকাশে হেলিকপ্টার টহল দিচ্ছে।
আজ আরাফাতের ময়দানে খুতবার পর জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করে হাজিরা সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবেন। পরে আল্লাহর মেহমানরা পাঁচ কিলোমিটার দূরের মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন। রাতে তাঁরা সেখানে খোলা মাঠে অবস্থান করবেন এবং শয়তানকে মারার জন্য প্রয়োজনীয় পাথর সংগ্রহ করবেন। মুজদালিফায় ফজরের নামাজ আদায় করে হাজিরা আবার মিনায় যাবেন। সেখানে বড় শয়তানকে সাতটি পাথর মারার পর পশু কোরবানি দিয়ে হাজিরা মাথার চুল ছেঁটে বা ন্যাড়া করে গোসল করবেন। সেলাইবিহীন দুই টুকরো কাপড় বদল করবেন। পরে মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে তাঁরা কাবা শরিফ সাতবার তাওয়াফ করবেন এবং কাবার সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়া সাই করবেন। সেখান থেকে তাঁরা আবার মিনায় এসে আরও দুই দিন অবস্থান করে হজের বাকি আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করবেন। তারপর মক্কায় বিদায়ী তাওয়াফ সেরে যাঁরা মদিনা যাননি, তাঁরা মদিনা যাবেন। যাঁরা আগে মদিনায় গেছেন, তাঁরা নিজ নিজ দেশে ফিরবেন।
জেদ্দার চেম্বার অব কমার্স ও মক্কার কেন্দ্রীয় পরিবহনের সভাপতি আলী হাসান নাকর জানান, হাজিদের মক্কা থেকে মিনায় নিয়ে যেতে ২৫ হাজারের বেশি বাস চলাচল করেছে। আরও তিন হাজার বাসে করে মিসর, তুরস্ক, সিরিয়া, জর্ডান ও লেবানন থেকে হাজিরা মিনায় আসেন। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো চীনা কোম্পানি নির্মিত মক্কা মেট্রোরেল সার্ভিস চালু করা হয়েছে। মিনা, মুজদালিফা ও আরাফাত—এ তিন শহরের মধ্যে এই রেল চলবে। এতে প্রতি ঘণ্টায় ৭২ হাজার হাজি যাতায়াত করতে পারবেন।
হিজরি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ৮ জিলহজ মিনায় অবস্থানের দিন। মিনা এখন রীতিমতো তাঁবুর নগরে পরিণত হয়েছে। তাঁবুগুলো অগ্নিপ্রতিরোধক ও শীতাতপনিয়ন্ত্রিত। গতকাল শুক্রবার ফজরের নামাজের পরই হাজিরা বাস, গাড়ি অথবা হেঁটে মক্কা নগর থেকে ইহরাম বেঁধে পাঁচ কিলোমিটার দূরে মিনায় যান। এই মিনাতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ৬৩২ সালে হজ পালন করেন।
ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম হজ। হজের তিন ফরজের মধ্যে আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। হাজিরা আজ সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে থাকবেন। সেখানে তাঁদের কেউ পাহাড়ের কাছে, কেউ বা সুবিধাজনক জায়গায় বসে ইবাদত করবেন। মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দেবেন সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি আবদুল আজিজ আল শাইখ।
দুই মাইল দৈর্ঘ্য এবং দুই মাইল প্রস্থ একটি বিরাট সমতল ময়দান আরাফাত। তিন দিকে পাহাড়ঘেরা ধনুক আকৃতির এই ময়দানে ৯ জিলহজ হাজিরা অকুফে আরাফাহ বা আরাফাতে অবস্থান করেন।
আরাফাতের ময়দানে যাওয়ার এক দিন আগে মিনায় জোহর, আসর, মাগরিব, এশা ও ফজর—এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা সুন্নত। এ সুন্নত আদায় করতে হজের এক দিন আগে যথারীতি গতকাল রাত মিনায় অবস্থান করেন হাজিরা। হজের জন্য সৌদি সরকার ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে। মক্কার আকাশে হেলিকপ্টার টহল দিচ্ছে।
আজ আরাফাতের ময়দানে খুতবার পর জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করে হাজিরা সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবেন। পরে আল্লাহর মেহমানরা পাঁচ কিলোমিটার দূরের মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন। রাতে তাঁরা সেখানে খোলা মাঠে অবস্থান করবেন এবং শয়তানকে মারার জন্য প্রয়োজনীয় পাথর সংগ্রহ করবেন। মুজদালিফায় ফজরের নামাজ আদায় করে হাজিরা আবার মিনায় যাবেন। সেখানে বড় শয়তানকে সাতটি পাথর মারার পর পশু কোরবানি দিয়ে হাজিরা মাথার চুল ছেঁটে বা ন্যাড়া করে গোসল করবেন। সেলাইবিহীন দুই টুকরো কাপড় বদল করবেন। পরে মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে তাঁরা কাবা শরিফ সাতবার তাওয়াফ করবেন এবং কাবার সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়া সাই করবেন। সেখান থেকে তাঁরা আবার মিনায় এসে আরও দুই দিন অবস্থান করে হজের বাকি আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করবেন। তারপর মক্কায় বিদায়ী তাওয়াফ সেরে যাঁরা মদিনা যাননি, তাঁরা মদিনা যাবেন। যাঁরা আগে মদিনায় গেছেন, তাঁরা নিজ নিজ দেশে ফিরবেন।
জেদ্দার চেম্বার অব কমার্স ও মক্কার কেন্দ্রীয় পরিবহনের সভাপতি আলী হাসান নাকর জানান, হাজিদের মক্কা থেকে মিনায় নিয়ে যেতে ২৫ হাজারের বেশি বাস চলাচল করেছে। আরও তিন হাজার বাসে করে মিসর, তুরস্ক, সিরিয়া, জর্ডান ও লেবানন থেকে হাজিরা মিনায় আসেন। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো চীনা কোম্পানি নির্মিত মক্কা মেট্রোরেল সার্ভিস চালু করা হয়েছে। মিনা, মুজদালিফা ও আরাফাত—এ তিন শহরের মধ্যে এই রেল চলবে। এতে প্রতি ঘণ্টায় ৭২ হাজার হাজি যাতায়াত করতে পারবেন।
No comments:
Post a Comment